পৃথিবীর তিনভাগ জল একভাগ মাটি; আমাদের তিনভাগ মাটি, একভাগ জল। তবু দক্ষিণেই আমাদের যাত্রা কেবল। অবিরাম আমরা সমুদ্রের কাছে ছুটে যাই। কারণ আমরা নিজেরাও সমুদ্রকে ধারণ করি আমাদের ভেতর। কিংবা আমরা নিজেরাই হয়তো সমুদ্রের ছদ্মবেশ।
বাংলা সাহিত্যে, পুরাণে সমুদ্র একাই বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে। মাইকেল মধুসূদন দত্তর ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যে সুদগ্রীব সমুদ্রে পাথর ফেলে সেতু বানানোতে সমুদ্রকে ধিক্কার জানায় রাবণ। রাবণের পরাজয়ের কারণ যেন সমুদ্র। হিন্দু পুরাণে সমুদ্র মন্থন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয়। ক‚র্ম অবতার সমুদ্র মন্থন করে অমরত্বের স্বাদ খোঁজেন। আমাদের এক নবি সমুদ্রকে হাতের ইশারায় দুইভাগ করেছিলেন। গ্রিক, স্ক্যানডেনেভিয় থেকে শুরু করে ভারতীয় মহাকাব্যে বারবার সমুদ্র এসেছে। না এসে যাবে কোথায়, সমুদ্র যে ঘিরে রাখে আমাদের। যেটুকু স্থলের মধ্যে আমরা থাকি তারচেয়ে বেশি জল আমাদের গ্রাস করে রাখে, জীবন ভর।
পৃথিবীর তিনভাগ জল একভাগ মাটি; আমাদের তিনভাগ মাটি, একভাগ জল। তবু দক্ষিণেই আমাদের যাত্রা কেবল। অবিরাম আমরা সমুদ্রের কাছে ছুটে যাই। কারণ আমরা নিজেরাও সমুদ্রকে ধারণ করি আমাদের ভেতর। কিংবা আমরা নিজেরাই হয়তো সমুদ্রের ছদ্মবেশ।
বাংলা সাহিত্যে, পুরাণে সমুদ্র একাই বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে। মাইকেল মধুসূদন দত্তর ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যে সুদগ্রীব সমুদ্রে পাথর ফেলে সেতু বানানোতে সমুদ্রকে ধিক্কার জানায় রাবণ। রাবণের পরাজয়ের কারণ যেন সমুদ্র। হিন্দু পুরাণে সমুদ্র মন্থন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয়। ক‚র্ম অবতার সমুদ্র মন্থন করে অমরত্বের স্বাদ খোঁজেন। আমাদের এক নবি সমুদ্রকে হাতের ইশারায় দুইভাগ করেছিলেন। গ্রিক, স্ক্যানডেনেভিয় থেকে শুরু করে ভারতীয় মহাকাব্যে বারবার সমুদ্র এসেছে। না এসে যাবে কোথায়, সমুদ্র যে ঘিরে রাখে আমাদের। যেটুকু স্থলের মধ্যে আমরা থাকি তারচেয়ে বেশি জল আমাদের গ্রাস করে রাখে, জীবন ভর।
বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার কপালকুন্ডলার নায়ক নবকুমারকে সমুদ্র দ্বীপে এনে ফেলেন। তাকে দেখে নায়িকার প্রশ্ন, ‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?’ হাজার বছর ধরে পথ হেঁটে এসে, সিংহল সমুদ্র, আর মালয় সাগর পেরিয়ে এসে বনলতা সেনকে দেখে প্রায় একই প্রশ্ন জীবনানন্দ দাশ করেন ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’ জীবনানন্দ দাশের ‘সিন্ধু সারস’, ‘সমুদ্র চিল’, ‘সমুদ্র পায়রা’, ‘সিন্ধুর হাওয়া’ ইত্যাদি কবিতাতেও সমুদ্র প্রকট।
রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের একাধিক কবিতায় সমুদ্রের কথা আছে। আগ্রহী পাঠক রবীন্দ্রনাথের ‘সমুদ্রের প্রতি’, ‘সিন্ধু তরঙ্গ’ কিংবা কাজী নজরুলের ‘সিন্ধু’ কবিতাসমূহ পড়ে দেখতে পারেন।
ইংরেজি সাহিত্যে সমুদ্র একটা বিশাল অধ্যায়, ‘নটিকাল ফিকশন’ নামে তাকে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। উপন্যাসের ক্ষেত্রে ডেনিয়েল ডিফোর ‘রবিনসন ক্রুসো’ (১৭১৯), হারম্যান মেলিভিনের ‘মবি ডিক’ (১৮৫১), জ্যাক লন্ডনের ‘দ্য সী উফল’ (১৯০৪), জোসেফ কর্নডের ‘লর্ড জিম’(১৯৯৯), আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী’ (১৯৫১), কোলরিজের কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য রাইম ফর দ্য এনসায়েন্ট মেরিনার’ (১৭৯৮), শেকসপিয়রের নাটক ‘টেমপেস্ট’ (১৬১১) এমনি কতো অসাধারণ সব নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। সমুদ্র নিয়ে সাহিত্যের কথা বলতে গেলে নিঃসন্দেহে আলাদা বই লিখতে হবে।
পৃথিবীর তিনভাগ জল একভাগ মাটি; আমাদের তিনভাগ মাটি, একভাগ জল। তবু দক্ষিণেই আমাদের যাত্রা কেবল। অবিরাম আমরা সমুদ্রের কাছে ছুটে যাই। কারণ আমরা নিজেরাও সমুদ্রকে ধারণ করি আমাদের ভেতর। কিংবা আমরা নিজেরাই হয়তো সমুদ্রের ছদ্মবেশ।
বাংলা সাহিত্যে, পুরাণে সমুদ্র একাই বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে। মাইকেল মধুসূদন দত্তর ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যে সুদগ্রীব সমুদ্রে পাথর ফেলে সেতু বানানোতে সমুদ্রকে ধিক্কার জানায় রাবণ। রাবণের পরাজয়ের কারণ যেন সমুদ্র। হিন্দু পুরাণে সমুদ্র মন্থন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয়। ক‚র্ম অবতার সমুদ্র মন্থন করে অমরত্বের স্বাদ খোঁজেন। আমাদের এক নবি সমুদ্রকে হাতের ইশারায় দুইভাগ করেছিলেন। গ্রিক, স্ক্যানডেনেভিয় থেকে শুরু করে ভারতীয় মহাকাব্যে বারবার সমুদ্র এসেছে। না এসে যাবে কোথায়, সমুদ্র যে ঘিরে রাখে আমাদের। যেটুকু স্থলের মধ্যে আমরা থাকি তারচেয়ে বেশি জল আমাদের গ্রাস করে রাখে, জীবন ভর।
By আবিদ.এ.আজাদ, মুম রহমান
Category: কবিতা ও আলোকচিত্র
পৃথিবীর তিনভাগ জল একভাগ মাটি; আমাদের তিনভাগ মাটি, একভাগ জল। তবু দক্ষিণেই আমাদের যাত্রা কেবল। অবিরাম আমরা সমুদ্রের কাছে ছুটে যাই। কারণ আমরা নিজেরাও সমুদ্রকে ধারণ করি আমাদের ভেতর। কিংবা আমরা নিজেরাই হয়তো সমুদ্রের ছদ্মবেশ।
বাংলা সাহিত্যে, পুরাণে সমুদ্র একাই বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে। মাইকেল মধুসূদন দত্তর ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যে সুদগ্রীব সমুদ্রে পাথর ফেলে সেতু বানানোতে সমুদ্রকে ধিক্কার জানায় রাবণ। রাবণের পরাজয়ের কারণ যেন সমুদ্র। হিন্দু পুরাণে সমুদ্র মন্থন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয়। ক‚র্ম অবতার সমুদ্র মন্থন করে অমরত্বের স্বাদ খোঁজেন। আমাদের এক নবি সমুদ্রকে হাতের ইশারায় দুইভাগ করেছিলেন। গ্রিক, স্ক্যানডেনেভিয় থেকে শুরু করে ভারতীয় মহাকাব্যে বারবার সমুদ্র এসেছে। না এসে যাবে কোথায়, সমুদ্র যে ঘিরে রাখে আমাদের। যেটুকু স্থলের মধ্যে আমরা থাকি তারচেয়ে বেশি জল আমাদের গ্রাস করে রাখে, জীবন ভর।
বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার কপালকুন্ডলার নায়ক নবকুমারকে সমুদ্র দ্বীপে এনে ফেলেন। তাকে দেখে নায়িকার প্রশ্ন, ‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?’ হাজার বছর ধরে পথ হেঁটে এসে, সিংহল সমুদ্র, আর মালয় সাগর পেরিয়ে এসে বনলতা সেনকে দেখে প্রায় একই প্রশ্ন জীবনানন্দ দাশ করেন ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’ জীবনানন্দ দাশের ‘সিন্ধু সারস’, ‘সমুদ্র চিল’, ‘সমুদ্র পায়রা’, ‘সিন্ধুর হাওয়া’ ইত্যাদি কবিতাতেও সমুদ্র প্রকট।
রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের একাধিক কবিতায় সমুদ্রের কথা আছে। আগ্রহী পাঠক রবীন্দ্রনাথের ‘সমুদ্রের প্রতি’, ‘সিন্ধু তরঙ্গ’ কিংবা কাজী নজরুলের ‘সিন্ধু’ কবিতাসমূহ পড়ে দেখতে পারেন।
ইংরেজি সাহিত্যে সমুদ্র একটা বিশাল অধ্যায়, ‘নটিকাল ফিকশন’ নামে তাকে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। উপন্যাসের ক্ষেত্রে ডেনিয়েল ডিফোর ‘রবিনসন ক্রুসো’ (১৭১৯), হারম্যান মেলিভিনের ‘মবি ডিক’ (১৮৫১), জ্যাক লন্ডনের ‘দ্য সী উফল’ (১৯০৪), জোসেফ কর্নডের ‘লর্ড জিম’(১৯৯৯), আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী’ (১৯৫১), কোলরিজের কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য রাইম ফর দ্য এনসায়েন্ট মেরিনার’ (১৭৯৮), শেকসপিয়রের নাটক ‘টেমপেস্ট’ (১৬১১) এমনি কতো অসাধারণ সব নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। সমুদ্র নিয়ে সাহিত্যের কথা বলতে গেলে নিঃসন্দেহে আলাদা বই লিখতে হবে।